মুঘল বাংলার রাজনীতিতে মুর্শিদকুলি খান
Main Article Content
Abstract
মুঘল বাংলার রাজনীতিতে মুর্শিদকুলি খানের আবির্ভাব ও কর্মজীবন এক গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময় অধ্যায়। মুর্শিদকুলি খান ব্রাক্ষণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও নিজ দক্ষতা ও বিজ্ঞতার বলে অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় তথা নবাবী আমলের সূচনা করেন করেছিলেন। তিনি ১৬৯৬ সালে বেরারের দিওয়ানের অধীনস্থ হয়ে কাজ শুরু করেন এবং তার পারদর্শিতার দরুন তিনি সম্রাট আওরঙ্গজেবের সন্নিকটে চলে আসেন। সাম্রাজ্যের অধীনে মাত্র সাতাশ বছরের কর্মজীবনে একের পর এক বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত হন এবং দিওয়ান, ফৌজদার, ডেপুটি সুবাদার, সুবাদার ইত্যাদি পদে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ইতিহাসে তিনি মুহাম্মদ হাদি, করতলব খান, মুর্শিদকুলি খান, জাফর খান, এবং নাসিরী নাসির জং নামে উল্লেখিত। ১৭০০ সালে তিনি বাংলায় দিওয়ান হিসাবে নিযুক্ত হন এবং ১৭১৭ সালে বাংলার সর্বোচ্চ পদ সুবাদার পদে অধিষ্ঠিত হন। বাংলায় আগমনের পর তার ব্যয় সংকোচন ও রাজস্ব নীতির কারণে তিনি বাংলার প্রশাসনিক এবং রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তাদের নিকট অপছন্দনীয় হয়ে পড়েন। কিন্ত মুঘল সাম্রাজ্যের ক্রান্তিলগ্নে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক অস্থিারতার মধ্যে সুবাদার মুর্শিদকুলি খান তার অধীনস্থ প্রদেশগুলোকে কেন্দ্রীয় বিশৃংখলা থেকে মুক্ত রেখে নিয়মিত রাজস্ব আদায়ের মাধমে প্রদেশের উপর তার প্রভাব ও দিওয়ানি ক্ষমতার এক নজির স্থাপন করেন যা পরবর্তীতে তাকে বাংলায় নবাবী আমলের সূচনা করতে সহায়তা করে।