বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইকোট্যুরিজমের প্রভাবঃ সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক ও ডুলহাজরা সাফারি পার্কের উপর একটি ভৌগোলিক সমীক্ষা

Abstract

সারসংক্ষেপ: বন ও বনের জীববৈচিত্র্য সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইকোট্যুরিজমের প্রভাব অনুসন্ধানের জন্য চট্রগ্রাম জেলার বোটানিক্যাল  গার্ডেন সংলগ্ন সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক এবং কক্সবাজার জেলার ডুলহাজারা সাফারি পার্কের উপর একটি অনুসন্ধানমূলক জরিপ করা হয়েছে। এই গবেষণা জরিপে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইকোট্যুরিজমের প্রভাব মূল্যায়ন করার জন্য সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক এবং ডুলহাজরা সাফারি পার্কের সংরক্ষিত এবং তাদের সংলগ্ন অরক্ষিত অঞ্চলে ১০০ বর্গমিটার অর্থাৎ (১০ মিটার x ১০ মিটার) আকারের মোট ৮০ টি নমুনা প্লট নেওয়া হয়েছে। যা সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক এবং ডুলহাজরা সাফারি পার্কের সমস্ত সংরক্ষিত এবং অরক্ষিত অঞ্চলকে কভার করেছে। ডুলহাজরা সাফারি পার্কে সংরক্ষিত এলাকায় গাছের ফলন প্রতি হেক্টরে ২১২৬.৫ টি এবং অরক্ষিত এলাকায় গাছের ফলন প্রতি হেক্টেও ১১৯৭.৮৬ টি, সেইসাথে সংরক্ষিত এলাকায় গাছের উপস্থিতি প্রতি হেক্টরে ৬৬৩ টি এবং অরক্ষিত এলাকায় গাছের উপস্থিতি প্রতি হেক্টরে ৫৭০ টি। একইভাবে সীতাকুন্ড ইকোপার্কে সংরক্ষিত এলাকায় গাছের ফলন প্রতি হেক্টরে ২০২৬.৩ টি এবং অরক্ষিত এলাকায় গাছের ফলন প্রতি হেক্টরে ১২৯৭.২৬ টি, সংরক্ষিত এলাকায় গাছের উপস্থিতি প্রতি হেক্টরে ৬৭৩ টি এবং অরক্ষিত এলাকায় গাছের উপস্থিতি প্রতি হেক্টরে ৫৩০ টি। ডুলহাজারা সাফারি পার্কে সংরক্ষিত এলাকায় উদ্ভিদ প্রজাতির আপেক্ষিক ঘনত্ব শতকরা ৮০.৭১ এবং অরক্ষিত এলাকায় আপেক্ষিক ঘনত্ব শতকরা ৫৪.০৪। একইভাবে সীতাকুন্ড ইকোপার্কে সংরক্ষিত এলাকায় উদ্ভিদ প্রজাতির আপেক্ষিক ঘনত্ব শতকরা ৫৯.৯২ এবং অরক্ষিত এলাকায় আপেক্ষিক ঘনত্ব শতকরা ৫২.০৮ (সারণিঃ ৩)। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে সংরক্ষিত এলাকায় প্রজাতির সংখ্যা, প্রজাতির গঠন, প্রজাতির ক্রমবর্ধমান মজুদ, প্রাকৃতিক পুনর্জন্ম এবং উদ্ভিদ প্রজাতির বৈচিত্র্য অরক্ষিত এলাকার তুলনায় সংরক্ষিত এলাকায় বেশি ছিল, যা বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইকোট্যুরিজমের ইতিবাচক প্রভাব নির্দেশ করে। ফলে বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইকোট্যুরিজমের বৃদ্ধি, উত্তম ব্যাবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

Abstract: Forest and the Biodiversity of forests play a significant role for humans and the natural environment. An exploratory survey has been conducted on Sitakunda Ecopark adjacent to the Botanical Gardens in Chittagong District and Dulhazara Safari Park in Cox's Bazar District to explore the impact of ecotourism on forest and biodiversity conservation. Primary and secondary data were collected for achieving the objectives of this research. To assess the impact of ecotourism on forest and biodiversity conservation, a total of 80 sample plots of 10 square meters (10 m x 10 m) size have been taken in protected and adjacent unprotected areas. All the plots cover the total management areas of Sitakunda Ecopark and Dulhazara Safari Park.

In Dulhazara Safari Park yields 2126.5 per hectare in protected areas and 1197.86 per hectare in unprotected areas, as well as, the presents of trees are at 663 per hectare in protected areas and 570 per hectare in unprotected areas (Table: 7). In Sitakunda Ecopark, the yields in protected areas is 2026.3 per hectare and in unprotected areas 1297.26 per hectare, the presents of trees is in protected areas at 673 per hectare and in unprotected areas is at 530 per hectare (Table 8). The relative density of plant species in the protected area of ​​Dulhazara Safari Park is 80.71 percent, and the relative density in the unprotected site is 54.04 percent. Similarly, in Sitakunda Ecopark, the relative density of plant species in the protected area is 59.92% and in the unprotected area, it is 52.08% (Table 3).

The results of this study revealed that the number of species in protected areas; species composition, increasing species reserves, natural regeneration, and plant species diversity were higher in protected areas than in unprotected areas. It also indicated the positive impact of ecotourism on forest and biodiversity conservation. Considering all these findings and correlations of studied components, it is observed that increasing ecotourism and good management is very important in conserving forests and biodiversity.