পিটার সিঙ্গারের ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা গ্রন্থের পর্যালোচনা
Main Article Content
Abstract
১৯৮০ খ্রি. ক্যাম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রকাশনা থেকে পিটার সিঙ্গারের Practical Ethics গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যেসব সামাজিক ও প্রাযুক্তিক সংকটের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছি সেসব সমস্যার নানা দিক ও মাত্রা পিটার সিঙ্গার উপস্থাপন করেছেন এ গ্রন্থে। মানুষ ও অ-মানব প্রাণীর জন্য সমতা, নিরামিষভোজী হব কি হব না, কাউকে হত্যা করা (Killing), কিংবা মরতে দেওয়া (Letting die) বিষয়ে উত্থাপিত বিতর্কের সুরাহা করা, অ্যামব্রায়োনিক ও স্টেমসেল গবেষণা নৈতিকভাবে যথোচিত কি-না, বৈশ্বিক উষ্ণতা, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ নীতিবিদ্যা, নাগরিক অবাধ্যতা, সহিংসতা ও সন্ত্রাস, ধনী ও দরিদ্র, কেন নৈতিক হব? ইত্যাদি সব বিষয় নিয়ে উত্থিত বিতর্কের নানা দিক উপস্থাপন করেছেন এ গ্রন্থে। এ আলোচনার সূত্র থেকে আমরা জীবনের সঙ্গে যুক্ত নানা বিষয়াদি জানতে পারছি, সমালোচনার দৃষ্টিকোণ থেকে এসব বিষয়াদি নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হচ্ছি। আমাদের পর্যালোচনার লক্ষ্য হলো উক্ত গ্রন্থের তৃতীয় সংস্করণ। দ্বিতীয় সংস্করণের সঙ্গে কয়েকটি নতুন অধ্যায় যুক্ত হয়েছে তৃতীয় সংস্করণে। তৃতীয় সংস্করণে তিনি কিছু আলোচনা বাদ দিয়েছেন। দ্বিতীয় সংস্করণে নবম অধ্যায় : Insider and Outsider-এর পরিবর্তে অন্তর্ভুক্ত করেছেন Climate Change, এগারতম অধ্যায় : Ends and Means-এর পরিবর্তে যুক্ত করেছেন Civil Disobedience, Violence and Terrorism। দ্বিতীয় সংস্করণের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অ্যাপেনডিক্স : On Being Silenced in Germany বাদ দিয়েছেন। পরিশেষে রয়েছে টীকা, তথ্যসূত্র ও প্রাসঙ্গিক কিছু বইপত্রের তালিকা। বর্তমান নিবন্ধে পিটার সিঙ্গারের Practical Ethics গ্রন্থের একটি রূপরেখা উপস্থাপনের পাশাপাশি এর দার্শনিক ভিত্তির কিছু অসংগতিও উপস্থাপন করা উক্ত প্রবন্ধের একটি লক্ষ্য।