উপভাষা কেন্দ্রিক স্থানিক সম্পর্ক একটি এথনোগ্রাফিক পর্যালোচনা
Main Article Content
Abstract
দুইটি ভিন্ন কমিউনিটি পাশাপাশি বসবাস করার কারণে তাদের মধ্যকার সাংস্কৃতিক উপাদানগুলোর মধ্যে কিছু কিছু বৈশিষ্ট্যের মধ্যে মিশ্রণ হয়ে যায়। আবার কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য কমিউনিটিগুলো দীর্ঘদিন বসবাস করার পরও তাদের মধ্যে উপভাষাগত পার্থক্যের পাশাপাশি অন্যান্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বিষয়াবলীর মধ্যে কিছু কিছু ট্রেইটের বিনিময় হয় না। এ প্রায় অবিনিময়কৃত ট্রেইটের কারণে পাশাপাশি বসবাসরত একাধিক কমিউনিটির জনগোষ্ঠীগুলো তাদের স্বতন্ত্র অবস্থান এবং পরিচিতি নিয়ে টিকে থাকতে পারে। এ ট্রেইট গুলোর ভিন্নতার কারণেই তাদের মধ্যে সম্পর্কের নৈকট্য ও দুরত্ব তৈরী হয়। আমাদের এ গবেষণায় আমরা দুইটি উপভাষিক কমিউনিটির জনগোষ্ঠী দীর্ঘদিন পাশাপাশি অবস্থান করার কারণে তাদের মধ্যে কোন কোন ট্রেইটের বিনিময় হয়েছে এবং কোন কোন ট্রেইট এখনও স্বাতন্ত্র্য ধরে রেখেছে সে বিষয়গুলো অনুসন্ধান চালিয়েছিলাম। গবেষিত এলাকায় ভাটিয়া ও বাঙালি নামে দুইটি কমিউনিটি বাস করে। এ কমিউনিটি দুইটির মধ্যে একটি ছিল অভিবাসিত কমিউনিটি যারা ভাটিয়া নামে পরিচিত এবং এ গবেষিত এলাকায় প্রায় ৬০ বছরের অধিক সময় ধরে বাঙালি কমিউনিটির (যারা এ গবেষিত এলাকায় স্থানীয় হিসেবে পরিচিত) পাশাপাশি অবস্থান করছেন। উক্ত জনগোষ্ঠী দুটির মধ্যে ব্যবহৃত ভাষার কিছু কিছু শব্দে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে এবং সেই সাথে একই শব্দ উচ্চারণে কন্ঠস্বরের ওঠানামায় পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে। এখানে অভিবাসন বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহৃত উপভাষাকে নিয়ামক ধরে উভয় কমিউনিটির অন্যান্য যে বৈশিষ্ট্যগুলো মিশ্রিত হয়ে গেছে আবার কিছু বৈশিষ্ট্য যেগুলো এখনও অমিশ্রিত অবস্থায় রয়েছে তা এ গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে। মূলত এ গবেষণার মূল বিষয় হচ্ছে অভিবাসিত হয়ে পাশাপাশি বসবাসরত দুইটি উপভাষিক কমিউনিটির মধ্যকার কিছু ট্রেইটের আন্ত বিনিময় এবং স্বতন্ত্রতা অনুসন্ধান।