বাংলাদেশের কমিক বুক: সূচনা ও বিস্তার
Main Article Content
Abstract
বাংলাদেশে কমিক বুকের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। প্রধানত কিশোর-তরুণরা কমিক বুকের পাঠক। বিদেশী ও অনুবাদকৃত কমিক বুক বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তাদের চাহিদা মেটায়। তবে সম্প্রতি স্থানীয়ভাবে বেশ কিছু কমিক বুক রচিত হচ্ছে। যদিও এর ইতিহাস বাংলাদেশে খুব বেশি পুরানো নয়। প্রতিদিনের পত্রিকায় বা বিভিন্ন পোস্টার বা বিলবোর্ডে কার্টুনের উপস্থিতি আমরা প্রায়শই দেখি। কার্টুন বা কমিকের উৎপত্তি এক হলেও এর রয়েছে ভিন্ন অর্থ। সাধারণত কার্টুন বলতে আমরা মজার বা ব্যাঙ্গাত্মক বা রাজনৈতিক কোনো বক্তব্য আছে এমন ড্রয়িংকে বোঝায়, অপরদিকে কমিকস বা কমিক স্ট্রিপ বলতে সারিবদ্ধ ছবির সমষ্টিকে বোঝায় যার বক্তব্য মজার বা ব্যাঙ্গাত্মক এবং রাজনৈতিক নাও হতে পারে। কমিকসের মূল উপজীব্য ছবি, লেখা সেখানে কোনো নির্দিষ্ট বিষয় বা গল্পকে প্রকাশ করতে অনুষঙ্গী হিসেবে হাজির থাকে। ছবির মাধ্যমে গল্প বলা বা মনের ভাব প্রকাশ করা আমাদের শিল্প ইতিহাসের গোড়াতেই আছে। মিশরের হায়ারোগ্লিফিক, রোমের ট্রাজান কলাম, ইংল্যান্ডের বায়েক্স ট্যাপেস্ট্রি (Bayeux Tapestry), মধ্যযুগের চার্চের দেয়ালে স্টেইনগ্লাস পেইন্টিং, ১৮ শতকের উলিয়াম হোগার্থের সিরিজ প্রিন্ট থেকে ২১ শতকের ওয়েবপেইজ সব জায়গাতেই কমিকসের উপাদান রয়েছে। কার্টুন, কমিক স্ট্রিপের বা গ্রাফিক নভেলের উৎপত্তিগত উপাদান এক হলেও পরবর্তীতে এদের মূলভাবগত জায়গায় পার্থক্য রয়েছে। এক্ষেত্রে কমিক বুকের উৎস হিসেবে প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় কার্টুন বিষয়েও সংক্ষিপ্ত আলোচনা থাকবে। আমার বর্তমান লেখার জন্য আমি বাংলাদেশের কমিক বুক ইলাস্ট্রেশন বেছে নিয়েছি। অপেক্ষাকৃত সাম্প্রতিক সময়ে করা কমিক বুক গুলো নিয়েই আলোচনা করা হবে। কমিকস বা কার্টুন শব্দগুলি ইংরেজী ভাষা থেকে এসেছে। এ সম্পর্কিত উপাদানগুলির নামও ইংরেজীতে আছে। লেখার সুবিধার্থে এ সংক্রান্ত শব্দগুলি ইংরেজী শব্দের বাংলা কোনো অর্থ ব্যবহার বা তৈরি না করে সরাসরি ইংরেজী শব্দের বাংলা করে দেয়া হয়েছে।