বাংলাদেশে নব্বই দশকের চলচ্চিত্রে নারী
Main Article Content
Abstract
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নব্বইয়ের দশক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। তবে তা মোটেও ইতিবাচক অর্থে নয়। এই দশকে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো বাণিজ্যিকীকরণের চূড়ান্ত প্রচেষ্টার উদাহরণ যেন। সেই প্রচেষ্টার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে নারীদের। অর্থাৎ নারীকে ভোগসর্বস্ব উপাদানরূপে উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে লগিড়বকৃত অর্থ উসুল করাই ছিল এর মূল লক্ষ্য। চলচ্চিত্রগুলো পুরুষ দর্শকের তথাকথিত বিনোদন জোগানের মাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হয় যেন। ফলে সেগুলো নির্মাণে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির জোরালো উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এই দশকে অর্থাৎ ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত কালপর্বে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো থেকে দ্বৈবচয়ন পন্থায় নির্বাচিত পাঁচটি চলচ্চিত্র বিশ্লেষণের আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এই দশকের মূলধারার চলচ্চিত্রের প্রভাবশালী প্রবণতাসহ অন্যবিধ প্রবণতারও রূপ নির্ণয়ের প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। যে চলচ্চিত্রগুলোকে আধেয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে : দাঙ্গা, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, আগুনের পরশমণি, রাঙা বউ ও আম্মাজান। উল্লেখ্য পাঁচটি চলচ্চিত্রের মধ্যে তিনটি চলচ্চিত্র (দাঙ্গা, রাঙা বউ, আম্মাজান) সহিংসতা, অশ্লীলতাসহ নারীদের ওপর নিপীড়নের নানামাত্রিক উপস্থাপনার দোষে সমালোচিত ও আলোচিত হয়েছে। একটি চলচ্চিত্র ভারতীয় চলচ্চিত্রের সরাসরি অনুকরণে নির্মিত (কেয়ামত থেকে কেয়ামত)। অপর একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র (আগুনের পরশমণি) এ অধ্যায়ে দশকের সুস্থধারার প্রতিনিধিত্বকারী ও শিল্পমানবিচারে অগ্রসর বিবেচনায় আলোচনা করা হয়েছে। সবগুলো চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেই অন্যবিধ বিষয়ের চেয়ে নারীচরিত্রকে কীভাবে নির্মাণ কিংবা উপস্থাপন করা হয়েছে তা বিশ্লেষণের প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে বক্ষ্যমান প্রবন্ধে।