কামরুল হাসান—এর লোগো ডিজাইনে আধুনিকতা:আকার ও রঙের বিশ্লেষণ
Main Article Content
Abstract
পরিচিতি ও প্রচারণার সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম লোগো। কোন পণ্য, কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান কিংবা সেবার পরিচায়ক হিসেবে যে প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকেই মূলত লোগো বলা হয়। এর মাধ্যমে ব্যান্ড পরিচিত হয় বলে একে ব্র্যান্ড আইডেন্টিটিও বলা হয়। একটি ভালো লোগো ব্র্যান্ড ভ্যাল্যু সৃষ্টি করে। যার ফলে বড় বড় ব্র্যান্ড তাদের পরিচিতি ও প্রচারণার প্রধান হাতিয়ার লোগোর জন্য মিলিয়ন ডলার খরচ করতেও কার্পণ্য বোধ করে না। আর এর পেছনে যার সৃজনশীল মেধার ছাপ থাকে তিনি হলেন লোগো ডিজাইনার। গ্রাফিক ডিজাইনের সুদীর্ঘ ইতিহাসে যুগে যুগে প্রত্যেক দেশেই এমন কয়েকজন বিখ্যাত ডিজাইনারের জন্ম হয়েছে যাঁরা পরবর্তী প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে ডিজাইনারদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে আছেন। তাঁদের কাজের মধ্য দিয়ে যুগ যুগ ধরে মানুষ তাঁদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন আবার বিশ্বদরবারে সমাদৃত। শিল্পী কামরুল হাসান এমনই একজন সৃষ্টিশীল গ্রাফিক ডিজাইনার। শিল্পী ও ডিজাইনার হিসেবে তাঁর অন্যসব অবদানের কথা বাদ দিলেও সত্তরের দশকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে তিনি যেসব যুগান্তকারী লোগো ডিজাইন করেছেন তার জন্য হলেও বাংলাদেশের গ্রাফিক ডিজাইন সেক্টর শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ ও আমেরিকায় নতুন করে শিল্প—কারখানা ও ব্যাবসায়িক সম্প্রসারণের ফলে প্রচার—প্রচারণার জন্য নতুন করে আধুনিক গ্রাফিক ডিজাইনের সূচনা হয়। তন্মধ্যে ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি ডিজাইন ছিল অন্যতম একটি বিষয়। সে সময় পল র্যান্ড, বেল, সলভাস, চার্মায়েফ ও গেইজমার যাঁদের আমরা আধুনিক লোগো ডিজাইনের পুরোধা ব্যক্তি হিসেবে মানি। কিন্তু লোগো ডিজাইনের ক্ষেত্রে কাজের মান ও সৃজনশীলতায় শিল্পী কামরুল হাসান কোনো অংশেই তাঁদের কম নন। আমি শিল্পী কামরুল হাসানকে তাঁদের সমকক্ষই মনে করি। কিন্তু পল র্যান্ড, বেল, সলভাস, চার্মায়েফ ও গেইজমার বিশ্বদরবারে যতটা সমাদৃত, সে তুলনায় কামরুল হাসান নিজ দেশেই অনেকটা অজনা রয়ে গেছেন। এর প্রধান করণ হলো সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা ও প্রচারণার অভাব। আধুনিক লোগো ডিজাইনের বৈশিষ্ট্য ও বিভিন্ন মানদণ্ডে শিল্পী কামরুল হাসানের ডিজাইনকৃত লোগোগুলোকে বিচার—বিশ্লেষণ করে এর স্বরূপ উদ্ঘাটনই এই গবেষণার মূল লক্ষ্য। শিল্পী কামরুল হাসানের আরেক সত্তা ডিজাইনার কামরুল হাসানকে জানার একটি ক্ষুদ্র প্রয়াসও হতে পারে এই গবেষণা।