রোকেয়ার মননে পাশ্চাত্য প্রভাব : গ্রহণ ও বর্জনের অভিঘাত
Main Article Content
Abstract
রোকেয়ার জীবদ্দশায় বাংলা ছিলো ঔপনিবেশিক শাসনাধীন। ভারতের সঙ্গে ইংল্যান্ডের, তথা পশ্চিমের, ব্যবসায়িক যোগাযোগের সূত্র ধরে এ এলাকা হয়ে ওঠেছে তাদের ঔপনিবেশিক অধিভূমি। ঔপনিবেশিকতার দোহাই দিয়ে ইউরোপ আমাদের মননে, ভাবনায়, জ্ঞানে ও শিক্ষায় অভিঘাত সৃষ্টি করেছিলো। এই অভিঘাত, প্রথমত, আমাদের চিরায়ত সাংস্কৃতিক কাঠামোর ধারা ভেঙে দেয়; দ্বিতীয়ত, অধিগ্রহণ করে নেয় আমাদের মনোজগৎ ও ভূমি। ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায় ভারতবর্ষের শিক্ষা ও অগ্রগতি। মুসলিম নারীকেও বঞ্চনার এই উত্তরাধিকার বহন করতে হয়। বঞ্চিত নারীর শিক্ষার বিকাশে প্রাণাধিক চেষ্টা করেন রোকেয়া সাখাওয়াৎ (১৮৮০-১৯৩২)। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেশজ জ্ঞান-বিজ্ঞানের পাশাপাশি ইউরোপীয় চিন্তা-চেতনার বহুমুখী ধারার সঙ্গে পরিচিত হন তিনি। পরিচয়ের সূত্র ধরে নিজস্ব চিন্তাবিশ্ব নির্মাণে ইউরোপীয় প্রভাবকে যেমন তিনি কাজে লাগান, তেমনি নির্বিচারে ইউরোপকে গ্রহণ করার ভাবনাও প্রত্যাখ্যান করেন। রোকেয়ার চিন্তাবিশ্ব নির্মাণে এই দুটি দিক উপস্থাপন করার প্রয়াস নেওয়া হবে বর্তমান নিবন্ধে। এই বোধ উপলব্ধির মধ্য দিয়ে রোকেয়া পাশ্চাত্য চিন্তাকে কতোটুকু গ্রহণ করেছেন, আর কতোটুকু বর্জন করেছেন — উভয়ই — গুরুত্ব পাবে উক্ত আলোচনায়।